383,Satarkul Road, Badda, Dhaka-1212
at: +8801926-694500
Opening Hours
Sun- Thurs: 07.00 AM - 05.00 PM
at: +8801926-694500
Sun- Thurs: 07.00 AM - 05.00 PM
প্রিয় শিক্ষার্থী, সম্মানিত অভিভাবক, শ্রদ্ধেয় শিক্ষকমণ্ডলী ও শুভানুধ্যায়ী
আস্সালামু আলাইকুম,
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। তবে জন্ম মাত্রই প্রতিটি মানুষ-এই শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী হয় না। বস্তুত জ্ঞানের আলো, বিজ্ঞানের সত্যানুসন্ধান, সামাজিক, মানবিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের পরিচর্যা এবং সর্বোপরি সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ মানুষকে এ শ্রেষ্ঠত্ব দান করে থাকে। আজকের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আগামী দিনে দেশ ও জাতির কর্ণধার।। ভবিষ্যতে তারাই দেশ ও জাতির কাঙ্ক্ষিত প্রত্যাশা পূরণে যথার্থ ভূমিকা পালন করবে। উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যহীন শিক্ষা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রকৃত শিক্ষা, নৈতিকতা, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ, দেশপ্রেম ও আদর্শিক জ্ঞান দান করতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই শিশু কিশোরদের সুনাগরিক, সুশিক্ষিত ও অনুপম চরিত্র গঠনের উপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। এই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম, সুযোগ্য ও উন্নত নৈতিক চরিত্রের নাগরিক তৈরির ক্ষেত্রে “মনপুরা স্কুল অ্যান্ড কলেজ” অগ্রণী ভূমিকা রাখবে, এই প্রত্যয় নিয়ে নিজস্ব ভবনে ২০১৪ সালে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।
এখানে বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। এ সব বঞ্চিত মানুষের কাছে শিক্ষার আলো পৌছাতে গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনে অত্র প্রতিষ্ঠান মাইলফলক হয়ে থাকবে। কঠোর নিয়ম-শৃঙ্খলা, পাঠদানের আধুনিক পদ্ধতি, অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলীর মাধ্যমে একটি আধুনিক ও মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে “মনপুরা স্কুল অ্যান্ড কলেজ” পরিচিতি পাবে বলে আমি একান্ত ভাবে আশাবাদী।
“মনপুরা গ্রুপ” একটি সেবা ও জনকল্যাণমুখী স্বনির্ভর প্রতিষ্ঠান। “মনপুরা গ্রুপ” এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হলো “মনপুরা স্কুল অ্যান্ড কলেজ”। আমি মনে করি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি হবে বাংলাদেশে বিশ্বমানসম্পন্ন আধুনিক শিক্ষার একটি দিক-নির্দেশক। মানসম্পন্ন শিক্ষা থেকে একজন। শিক্ষার্থীও যেন বাদ না পড়ে, সে ধরণের একটি শিক্ষা কাঠামো গড়ে তুলতে পারলে আমরা জাতিগতভাবে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জসমূহ সহজে মোকাবেলা করতে সমর্থ হবো ইনশাআল্লাহ।
“মনপুরা স্কুল অ্যান্ড কলেজ” এর এসব মহৎ লক্ষ্যকে সাফল্যমণ্ডিত করতে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষানুরাগী সহ সম্মাণিত সকল ব্যক্তির অকুণ্ঠ সমর্থন ও ঐকান্তিক সহযোগিতা আমরা একান্ত ভাবে প্রত্যাশা করছি।
ধন্যবাদান্তে
মো: আনোয়ার হোসেন
চেয়ারম্যান
মনপুরা স্কুল অ্যান্ড কলেজ
সম্মানিত অভিভাবক ও প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা,মনপুরা শিক্ষা পরিবারের পক্ষ থেকে সকলকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা।
মানবজাতিকে মহান সৃষ্টিকর্তা সকল গুণে গুণান্বিত হওয়ার পরিপূর্ণ ক্ষমতা দিয়েই সৃষ্টি করেছেন। এতদ্সত্ত্বেও তারা তা অর্জন করতে ব্যর্থ হচ্ছে একমাত্র ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে। তাই আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষার কবলে না পড়ে জীবন গড়ার সূচনার পূর্বেই হেরে না যায় বরং আলোকিত মানুষ হয়ে স্বীয় দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ হয়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যকে সামনে রেখেই ২০১৪ সালে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে “মনপুরা স্কুল অ্যান্ড কলেজ”। শিক্ষার আলোর মানুষের মনকে বিকশিত করে, বিকশিত করে মানবিক গুণাবলীকে। প্রত্যেক ভাল মানুষের মধ্যে এ মানবিক গুণাবলী থাকা অত্যাবশ্যক। মানবিক গুণাবলী অর্জনের একটি অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে মান সম্পন্ন শিক্ষা ও মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মানসম্মত পাঠদান পদ্ধতি, নৈতিকতা, সামাজিক, পারিবারিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ, শৃঙ্খলাবোধ, ও আদর্শিক জ্ঞান অর্জনের সুযোগ রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানে।
শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ সাধন, উন্নত চরিত্র গঠন ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন আদর্শ নাগরিক তৈরিতে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বদ্ধপরিকর। নিয়ম-শৃঙ্খলার যথাযথ প্রয়োগ ছাড়াও আছে বিষয় ভিত্তিক ও সৃজনশীল পদ্ধতিতে প্রশ্ন প্রণয়ন ও উত্তর পত্র মূল্যায়ণ প্রসঙ্গে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ নিবেদিত প্রাণ শিক্ষক-শিক্ষিকা বৃন্দ। ফলে অত্র প্রতিষ্ঠান একজন শিক্ষার্থীকে ভাল গুণে গুণান্বিত করে সত্যিকারের আলোকিত মানুষ গড়তে সক্ষম। তাই সকল শিক্ষার্থীকে আহ্বান জানাই সুশিক্ষিত হয়ে আলোকিত ও সুনাগরিক হয়ে উঠা সেই সাথে সম্মানিত অভিভাবকদের নিকট অনুরোধ-আপনার সন্তানদের “মনপুরা স্কুল অ্যান্ড কলেজ” এর মত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংস্পর্শে এনে দিন। আমরা আপনাদের উপহার দেব একটি সুসন্তান, সুনাগরিক ও আলোকিত মানুষ।
পরিশেষে আমরা বলতে পারি, প্রতিষ্ঠানটি শুধু এলাকায় নয়, এদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে হবে একটি আদর্শ মাইল ফলক। আর এ প্রত্যাশা পূরণে নিরলস প্রচেষ্টা, সততা ও নিষ্ঠা অব্যাহত রাখতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
ধন্যবাদান্তে
আফরোজা আক্তার
প্রধান শিক্ষক
মনপুরা স্কুল অ্যান্ড কলেজ
ষাটের দশকের শেষের দিকে তদানীন্তন পাকিস্তান সরকার কর্তৃক ঢাকা শহরে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্দেশ্যে বর্তমান স্কুল ভবনটি নির্মিত হয়। কিন্তু দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ায় বিদ্যালয়ের কার্যক্রম সঠিক সময়ে শুরু করা সম্ভব হয়নি। স্বাধীনতার এক যুগেরও পর স্থানীয় জনগণের আগ্রহ ও তদানীন্তন শিক্ষা সচিব জনাব কাজি বাহার আলির আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে ১৯৯৯ সালে ২০ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের বিখ্যাত পাবলিক স্কুলের অনুকরণে রংধনু আদর্শ স্কুল নামে একটি পূর্ণাঙ্গ বিদ্যালয় হিসাবে চালু করা হয়। একই বছরে কলেজ সেকশনের কার্যক্রম শুরু হয় এবং ২০০১ সালের ১ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রতিষ্ঠানটির নতুন নামকরণ করা হয় রংধনু আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। এরপর ২০০১ সালের ১৮ আগস্ট প্রজ্ঞাপনটি বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত হয়।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে কলেজটির সাফল্যের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকায় এবং জনগণের শিক্ষা চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০০৩ সালে এ স্কুল এ দিবা শাখা খোলার অনুমোদন দেয়। বর্তমানে কলেজটিতে প্রভাতী ও দিবা শাখার কার্যক্রম সাফল্যের সাথে পরিচালিত হচ্ছে। ২০২২ সালের ২০ জানুয়ারি রংধনু আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ২৩ বছর পূর্তি উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে দেশের একটি অনন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে নিজের অবস্থান সমুন্নত করতে সক্ষম হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত উত্তরা ১১ সেক্টর এলাকায় দিয়াবারি সড়কের পূর্ব পার্শ্বে সবুজ গাছপালা বেষ্টিত মনোরম পরিবেশে প্রায় সাড়ে পাঁচ একর জমির উপর এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের সাক্ষী হিসাবে কলেজটি দাঁড়িয়ে আছে। রংধনু আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি স্বায়ত্তশাসিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিমুক্ত এবং প্রকৃতিগতভাবে একটি আবাসিক প্রতিষ্ঠান। ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজের আদলে তৃতীয় হতে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শুধুমাত্র ছেলে এবং মেয়ে উভয় এ প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করতে পারে